• GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
  • GAMC- Slide

ইতিহাস


পৃথিবী যখন কুশিক্ষা ও বর্বরতার অন্ধকারে নিমজ্জিত, তাওহীদের প্রদীপ ছিল নিভূ নিভূ, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ বলতে কিছু ছিলনা-ঠিক তখনই শিরকের আধাঁরের মাঝে প্রথম হেরা গুহা থেকে তাওহীদের আলো বিচ্ছুরিত হয়। ওহী নিয়ে এলেন হযরত জিব্রাইল আ.। ধ্বনিত হল ইক্বরা(পাঠ কর)।পবিত্র কোরআনে ‘ইক্বরা; শব্দের মাধ্যমে পড়া ও পড়ানোর প্রতি আর ইলম (জ্ঞান) শব্দের দ্বারা লেখা ও লেখানোর প্রতি ইঙ্গিত পাওয়া যায়।আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে আলোকিত করার প্রথম শব্দই ছিল ‘ইক্বরা;। আর সেই বরকতময় শব্দের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অন্তর্নিহিত তাৎপয বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যাশায় আমাদের এই অগ্রযাত্রা এগিয়ে চলা।ছোট সোনামনিকে নিয়ে প্রত্যেক অভিভাবকের থাকে অনেক স্বপ্ন।এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেকেই দিশেহারা হয়ে যান।একদিকে ইসলামি শিক্ষা দিতে চান অন্যদিকে আবার সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলতে চান আদরের সন্তানকে।সরলপ্রাণ এই ইসলামপ্রিয় মানুষটির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ।সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ইকরাই বাংলাদেশে প্রথম ইসলামি শিক্ষার সমন্বয় করে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।শুধু ঢাকায় নয় সারাদেশে ত্রিশটির মতো শাখা নিয়ে এই কর্মসূচি চলছে প্রায় দুই যুগ ধরে।আল-কুরআনের হিফয ও  ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে মহানবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসালাম সুন্দর বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে হাফেযে কুরআনের পিতা-মাতাকে কিয়ামতের দিন এমন মুকুট পড়ানো হবে যার উজ্জ্বলতা হবে সূর্যের আলো থেকেও অনেক বেশী।সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে দ্বীন শিক্ষাগ্রহণ করার বিষয়টি এখন বাস্তবতা। মানুয়ের আলোকোজ্জ্বল জীবনের জন্য যেমন সাধারণ শিক্ষার প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দ্বীন শিক্ষা, দ্বীন শিক্ষা না হলে অন্ধকারেই হারিয়ে থাকে মানুষ। তাই আলোর সিঁড়িতে উঠে আসার জন্যই প্রয়োজন দ্বীনি শিক্ষা। যে অভিভাবক কেবল আদরের সন্তানকে সাধারণ শিক্ষা দেন তিনি নৈতিক শিক্ষার এই সুন্দর জগত থেকে পিছিয়ে পড়েন।